জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় দুর্বৃত্তদের কোপে আহত গৃহবধূ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন দিনের মাথায় মারা গেছেন।
শুক্রবার রাতে উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাগঝাপা গ্রামে শয়ন কক্ষে দুর্বৃত্তরা গৃহবধূ মোসা. লাভলী বেগমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।
সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
লাভলী বেগম গ্রামের সাহেব ফকিরের স্ত্রী। তাদের চার সন্তান। ওই রাতে লাভলীর অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে মো. রতন শরীফকেও (১৪) পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, এ ঘটনায় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হত্যা মামলা হয়েছে। তার তিন ঘণ্টার মাথায় প্রধান আসামি সজল শরীফ নড়াইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সজল শরীফ হত্যাকাণ্ডের শিকার গৃহবধূর প্রতিবেশী আকরাম শরীফের ছেলে। ঘটনার পর থেকে আকরাম শরীফের পরিবার পলাতক আছে।
লাভলী বেগমের মা মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার রাতে তার মেয়ে ঘুমাতে যান। গভীর রাতে ঘরের জানালা ও দরজা ভেঙে দুর্বৃত্তরা ঘরে প্রবেশ করে। তারপর লাভলীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এবং তার ছেলেকে খাটের নীচ থেকে এনে মারধর করে আহত করে।
লাভলীকে প্রথমে কাশিয়ানী ১০০ শষ্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী মো. ইকরাম শরীফের কাছ থেকে ছয় শতক জমি কিনেছিলেন লাভলী বেগম। এতে ইকরাম শরীফের আপন ভাই আকরাম শরীফ ক্ষিপ্ত হন। লাভলী বেগম জমির দখল না পেয়ে দফায় দফায় সালিশ করেন। কিন্তু সমাধান পাননি। পরে আদালত লাভলীর পক্ষে রায় দেয়।
এর জের ধরে আকরাম শরীফের লোকজন মেয়েকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন মনোয়ার।
কাশিয়ানী থানার ওসি মো. ফিরোজ আলম বলেন, জমিজমার বিষয়ে এ ঘটনাটি ঘটতে পারে। তদন্ত চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।